বাঙ্গালীর বার্তা: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। “তবে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বিএনপি নয়, সিদ্ধান্ত নেবে দেশের মানুষ, নির্বাচন কমিশন। সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে।”
তিন বলেন, “বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি।”
‘আগামী নির্বাচনে তারা (আওয়ামী লীগ) আসতে পারে এবং কীভাবে আসবে’ সে বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে যত শিগগির নির্বাচন হবে ততই মঙ্গল হবে বলে মন্তব্য করেন মঈন খান।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর মাইকেল বালদাসারো, ডেটা সায়েন্টিস্ট সাইরাহ জাইদি, অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ড্যানিয়েল রিচার্ডসন, পিস ও ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট কাজী শহীদুল ইসলাম।
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে এ বৈঠক করেন কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিরা।