বাঙ্গালীর বার্তা: সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ের সময় মাহফুজ আলমের ওপর বোতল নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগানও দেন। ছুড়ে দেওয়া ওই বোতলে মূত্র ভর্তি ছিল বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত লোকজন।
এমন আচরণের বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠী যাদেরকে আমি স্যাবোট্যুর মনে করি তারা এই কাজটি ঘটিয়েছে। এবং তারা আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে আন্দোলন স্যাবোটাইজ করে।
তিনটি দাবিতে ড. ইউনূসের বাসভবনমুখী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেও সড়ক ছেড়ে যাননি তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কথা বলতে যমুনায় যান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যসহ একটি দল। পরে রাতে উপদেষ্টা মাহফুজকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত হন জবি উপাচার্য। এ সময় মাহফুজ কথা বলতে গিয়ে আন্দোলনে একটু উস্কানি হয়েছে বললে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তার মাথার ওপরে তরলভর্তি একটি প্লাস্টিকের বোতল পড়ে। বোতলটি মাথায় আছড়ে পড়ায় তাকে মাথায় হাত দিয়ে হাতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এসময়।
তার সাথের লোকজন বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। ভিড়ের মধ্যেই গুঞ্জন শোনা যায় ছুড়ে মারা বোতলে কেউ মূত্র ভরে রেখেছিল বলে। তবে বিষয়টি নিয়ে আর বিস্তারিত জানা যায়নি।
আজ রাত সোয়া ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে এলে তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন এবং বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাটি ঘটান।
তবে এ ঘটনার সাথে গুপ্ত সংগঠন ছাত্র শিবিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা মাহফুজ আলমের সাথে শিবিরের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমরা গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি নিয়ে ইউজিসিতে গিয়েছিলাম। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেছিলেন তিনি সুযোগ পেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবেন এবং বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে বলেছেন। ইউজিসির চেয়ারম্যান স্যার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন, জবি শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করে। পরে প্রধান উপদেষ্টা চেয়ারম্যান স্যারকে ধন্যবাদ দেন এবং বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানান।
এরপরই উপদেষ্টা মাহফুজকে শিক্ষার্থীদের সামনে কথা বলতে বলেন জবি উপাচার্য। পরে মাহফুজ বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল এবং বলেছিলাম আমরা বসবো। কথা ছিল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আমরা বসে আলোচনা করে এ বিষয়টি সমাধান করবো। যেহেতু আপনারা ন্যায্য মনে করে দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এভাবে আন্দোলনে হয়তো একটু উস্কানি হয়েছে।
এ কথা বলতেই জবি শিক্ষার্থী ভুয়া ভুয়া ধ্বনি স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তার মাথার ওপরে এসে একটি তরলভর্তি প্লাস্টিকের বোতল এসে পড়ে।