বাঙ্গালীর বার্তা: বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর কাকরাইলে টিএনজেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ৯ ঘণ্টা ধরে সড়কে অবস্থান করেন। রাত ১২ টার দিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার পর তারা সড়কের অবস্থান ছেড়ে নিজ নিজ বাসায় ফিরে যান। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টিএনজেড গ্রুপের ওয়াশিং প্ল্যান্ট ও মহাখালীস্থ ডিওএইচএস এ মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ৩টা নাগাদ মিছিল নিয়ে কাকরাইল মোড়ে এসে উপস্থিত হন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ১৮ মাস আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডার্ড গ্রুপের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি মোতাবেক শ্রমিক-কর্মচারীদের সব পাওনা পরিশোধের দাবি জানান তারা।
আন্দোলন শুরুর কিছু সময় পরই বৃষ্টি শুরু হলেও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনমুখী কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। এ সময় আজকের মধ্যেই বেতন পরিশোধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেতনের দাবিতে ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে পল্টনের দিক থেকে যমুনার উদ্দেশে এগিয়ে আসেন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা। কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মোড় অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় বৃষ্টি। পরে বৃষ্টিতে ভিজেই বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক জানান, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আশ্বস্ত হওয়ার পর কাকরাইল মোড় (তাবলীগ মসজিদ সংলগ্ন) থেকে তারা চলে যান।
এদিকে, টিএনজেড ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় ৫ টি সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো, টিএনজেড গ্রুপের ওয়াশিং প্ল্যান্ট ও মহাখালীস্থ ডিওএইচএস এ মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। টিএনজেড গ্রুপের মালিক বিদেশে থাকায় ইতোমধ্যে তাকে দেশে আনার জন্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। টিএনজেডের পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। টিএনজেডের পরিচালক (অর্থ) শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত সরকারের হেফাজতে থাকবে।