শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
রাজনীতির বার্তা: জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পর যাওয়ার একটি কারণও নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংশোধনীগুলো রয়েছে, তা চিহ্নিত করে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন সম্ভব। এমন কোন সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কারগুলো আছে তা নির্বাহী আদেশে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিনদিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি।
‘আমরা আলোচনা মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা সেটাই গ্রহণ করব যেটাই জাতির জন্য বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। এটা জাতীয় নীতিতে গৃহীত হলে এ জাতির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হবে। আমরা সেটাই গ্রহণ করবো যে প্রস্তাবগুলো সংবিধান ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। রাষ্ট্রের সকল কিছু মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে দিয়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করতে পারব।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ- বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐক্যমতে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমার একমতে আসতে পারবে সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমতের ভিত্তিতে একটি সনদের স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের ইলেকশন মেনুফ্যাকচারেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে।
‘আমার কাছে মনে হয়েছে ওনার যথেষ্ট আন্তরিক, তবে ইতিমধ্যে অনেক সবাই সময় ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে’ বলে জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
প্রসঙ্গত, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফা সংলাপে সোমবার ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
