বাঙ্গালীর বার্তা: ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনে হুতি নিয়ন্ত্রিত তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলার শিকার হয়েছে বাণিজ্যিক জাহাজ গ্যালাক্সি লিডারও। জাহাজটি দুই বছর আগে ছিনতাই হয়েছিল।
সোমবার (৭ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হুদাইদাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এ হামলার তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ হামলার জবাবে ইয়ামেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যায়নি।
ইরান-সমর্থিত হুতি সামরিক গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি হয়েছে।
হুতি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হোদেইদাহ বন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আঘাত হেনেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এক্স-এ এক পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এ ধরনের হামলাকে ‘অপারেশন ব্যাক ফ্যাগ’র অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। হুতিদের কর্মের জন্য চড়া মূল্য চুকাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কাটজ বলেন, “ইয়েমেনের ভবিষ্যৎ তেহরানের মতোই হবে। যে কেউ ইসরায়েলকে আঘাতের চেষ্টা করবে, তাকে আঘাতের পাল্টা মূল্য দিতে হবে। যে কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাত তুলবে, তার হাত কেটে ফেলা হবে।”
গাজায় ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকেই হুতি বিদ্রোহীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নিয়মিত ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ আর লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করছে।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের বন্দরগুলোতে সর্বশেষ হামলা ইসরায়েল ও তার জনগণের ওপর হুতিদের অব্যাহত আক্রমণের জবাবে করা হয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দাবি করেছে, হামলায় হুতি নিয়ন্ত্রিত হুদাইদাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দরের পাশাপাশি রাস কানাতিপ বিদ্যুৎকেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আশপাশের ইব ও তাইজ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো।
হোদেইদাহ বন্দরটি লাখ লাখ ইয়েমেনির খাবার ও মানবিক সহায়তার প্রধান প্রবেশপথ। গত বছর সেখানে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।