বাঙ্গালীর বার্তা: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ মঞ্চে থাকা সাউন্ড সিস্টেম, মাইক, চেয়ারসহ অন্যান্য সামগ্রী ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি উপস্থিত এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর শারীরিক হামলাও চালানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই কর্মসূচি ঘিরে সকালে পুলিশের একটি গাড়িতেও আগুন দেয়া হয়েছে। সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মির মো. সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রা ও পথসভার কথা রয়েছে। সেখানে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন বলে জানা গেছে। তাদের এ পদযাত্রা বানচালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এছাড়া সকালে সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর এলাকায় ঘোনাপাড়া-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সে সময় তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি বহরেও হামলা চালানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় পদযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
তিনি বলেন, “এই কর্মসূচি বানচালের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা বিভিন্ন স্থানে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা চালায়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে প্রথমে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এরপর আমার গাড়ি বহরের ওপরও হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারা।”