বাঙ্গালীর বার্তা: দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা করে। দেশের মোকামে পেঁয়াজের মজুত কমের দিকে। যে কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় তাহলে বাজার স্বাভাবিক হবে, বলছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
চড়া দামের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। এখনই দামের নাগাম টানতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল সপ্তাহে বন্দরের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৫০-৫২ টাকা দরে। কিন্তু হঠাৎ করেই পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। দেশের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের মজুদ অনেকাংশে কমে গেছে। যার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন হয়ে পড়ছে। বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশিক মালদার জানান, পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক ছিলো। হঠাৎ আজ (৮ আগস্ট) পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি বাজার উল্টাপাল্টা। এর আগে, ৫০ টাকা কেজি কিনলাম, আজ তা ৭০ টাকা কেজি। এভাবে দাম বাড়লে আমরা চলব কী করে?
আরেক ক্রেতা কামাল হোসেন জানান, প্রশাসনের তদারকি দরকার। না হলে কোনো জিনিসেরই দাম কমবে না। অনেকে পেঁয়াজের সংকটের কথা বলে মজুদ রেখেছে। একারণে দাম বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়া, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। আর বাজারে সরবরাহ কমে আসার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার আশঙ্কা থাকায় দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের এখন থেকে দেওয়া দরকার। এখনই দামের লাগাম টানতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানিতে সরকারের পদক্ষেপ প্রয়োজন। এতে পেঁয়াজের বাজার এমনিতেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে ধারণা এই ব্যবসায়ীর।