বাঙ্গালীর বার্তা: ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে শনিবার চারজনের লাশ উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
এর মধ্যে মীরের বাগ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এক নারী ও চার-পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলে শিশুর লাশ।
দুজনেরই গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল বলে জানিয়েছে সদরঘাট ফাঁড়ির নৌপুলিশ।
আর কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারিপুর ঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় এক নারী ও এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করেন বরিশুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
চারজনই হত্যার শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বরিশুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোক্তার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা ওই নারী ও পুরুষের লাশ উদ্ধার করেন।
“পুরুষটির এক হাতের সঙ্গে নারীর একটি হাত বাঁধা ছিল”
দুই থেকে তিন দিন আগে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে মন্তব্য করে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “লাশ ফুলে যাওয়ায় চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। পচে যাওয়ার কারণে আঙুলের ছাপও পাওয়া যায়নি। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে পারে।
“পুরুষটির পরনে ছিল লাল চেকের শার্ট ও ট্রাউজার। আর নারীর পরনে ছিল লাল রঙের সালোয়ার ও ছাই রঙের টি-শার্ট।”
তাদের পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআইয়ের ফরেনসিক বিভাগ কাজ করছে বলে জানান এসআই মোক্তার।
ঘটনাস্থলটি পড়েছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায়। এই থানার ওসি মনিরুল হক ডাবলু বলছেন, “একই বস্তায় তাদের হাত বাঁধা ছিল। তাদের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে সিআইডি ও পিবিআই কর্মকর্তারা এসেছেন।”
নারী-শিশুর লাশ
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরের কাছে নারী ও শিশুর লাশ পাওয়া যায়।
সদরঘাট নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহাগ রানা বলছেন, “আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী নারীর গলায় ফাঁসের মতো বোরকা প্যাঁচানো ছিল। আর একই কায়দায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল শিশুটির গলায়। শিশুটির বয়স চার-পাঁচ বছর হবে।”
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গার একই এলাকায় মিললেও লাশ দুটির মধ্যে কিছুটা দূরত্ব ছিল।
ঘটনাস্থলটি পড়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায়।
এই থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেন বলছেন, দুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।