1. bangalirbarta@gmail.com : বাঙ্গালীর বার্তা : বাঙ্গালীর বার্তা
  2. info@www.bangalirbarta.com : বাঙ্গালীর বার্তা :
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ন

নির্বাচন কমিশন কিছু রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে: হাসনাত

মোঃ আলাউদ্দীন শেখ রাজধানী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গালীর বার্তা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) কিছু রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে শুনানির সময় হাতাহাতির ঘটনায় সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করেন এনসিপির এই নেতা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে শুনানির প্রথম দিনে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির দুই পক্ষ ও এনসিপির নেতাকর্মীরা। সেখানে বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন হাসনাত।

সীমানা নির্ধারণের শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন।

যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে হট্টগোল শুরু হয়, যা হাতাহাতিতে গড়ায়। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ আবার কোনো মঞ্চস্থ নির্বাচন দেখতে চায় না।”

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কড়া সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, “তিনি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ছিলেন। তিনি যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে ধরে নেব এগুলো বিএনপির হাইকমান্ড থেকে বলানো হচ্ছে।”

অভিযোগের সুরে হাসনাত বলেন, “বিএনপি এবং জামাতসহ অন্যান্য যে রাজনৈতিক ক্রিয়াশীল দলগুলো রয়েছে, তারা এই নির্বাচন কমিশনে কতটা-কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং এখানে যে কমিশনাররা রয়েছেন, তারা ওসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কে কীভাবে সম্পৃক্ত তার সব জানা আছে। শুধু নির্বাচন কমিশন না, বাংলাদেশের যে অফিসগুলো রয়েছে; সচিবালয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের পুলিশ- কে কাকে মেনটেইন করে আমরা তা শুনেছি।”

“এখানকার কমিশনার যারা রয়েছেন, তারা ‘পিক অ্যান্ড চুজ’-ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছেন। আমরা তাদের বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকাকে সাপোর্ট করি। আজকে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, পুরো বাংলাদেশ তার সাক্ষী হয়েছে। এটি মূলত হচ্ছে আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে এবং সেই নির্বাচনে এই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী হবে এবং আগামী নির্বাচনে বিএনপি কী ভূমিকা রাখবে এবং পুলিশ কী দর্শকের ভূমিকা রাখবে কি না, সেটি আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।”

তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন কীভাবে বিএনপির একজন নেত্রী বলছেন, আমরা চাইলে এখানে গুণ্ডা নিয়ে আসতে পারতাম। অর্থাৎ তারা গুণ্ডার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। আমরা বারবার বলে এসেছি, একটি গ্রহণযোগ্য অবাদ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আবার গুণ্ডাতন্ত্রের দিকে যেতে চায় না।” ‍

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হাসনাত বলেন, “আমাদের একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এই নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই দলমত নির্বিশেষে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুবা আমরা এই নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবি তুলব। এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল, সে আস্থা ক্রমশ ক্ষীয়মাণ।”

“আমাদের দল নিবন্ধন থেকে শুরু করে প্রতীক বরাদ্দ এবং সীমানা নির্ধারণ প্রত্যেকটি কাজ কোনো না কোনোভাবে প্রশ্ন করা যায়। আমরা দেখেছি, আমরা যখন নির্বাচন কমিশনের সাথে মিটিং করি, আমরা দেখি তাদের এক ধরনের আচরণ থাকে তারপরে তারা একটা সময় চায়, ওই সময়ের মধ্যে কী হয়; এটা তারাই বলতে পারবেন। তাদের রিমোট কন্ট্রোল কোথায় রয়েছে, এটা আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত সেটা অজ্ঞাত,” যোগ করেন তিনি।

এনসিপির এই নেতা বলেন, “আমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনে আমাদের অভিযোগ দিয়ে যাব এবং আমরা পর্যবেক্ষণ করব নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট