বাঙ্গালীর বার্তা: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন প্রতিবাদী ছাত্র-জনতা। শুক্রবার বিকাল ৫টায় উত্তরার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিছিলে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনের কয়েকশ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জুলাই গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় না আনতে পারার কারণে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের মিছিল এরই স্পষ্ট ইঙ্গিত।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখা জুলাই রেভুলেশন অ্যালায়েন্স সংগঠক লাবিব মুহান্নাদ বলেন, আমাদের একটাই দাবি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না, শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে না।
বিক্ষোভ মিছিলে তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা সরদার রিয়াদ বলেন, আজ যদি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিত তাহলে ওরা রাস্তায় আসার সাহস পেত না। আমরা চাই জুলাই গণহত্যায় জড়িত এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।
এ সময় মিছিলটি ঢাকা-বিমানবন্দর মহাসড়কের হাউজ বিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, জসিমউদ্দিনসহ উত্তরার প্রধান প্রধান স্থান প্রদক্ষিণ শেষে বিএনএস সেন্টারে এসে শেষ হয়।
এদিকে, আওয়ামী লীগের ওই ঝটিকা মিছিলের প্রতিবাদে রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল করতে দেখা গেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রতিহতের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন।
ভোরে বিমানবন্দর ও উত্তরার দুটি স্থানে আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আতিকুর রহমান মুরাদের নেতৃত্বে ওই মিছিল হয় বলে জানা গেছে।
মিছিলে ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি ও উত্তরায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়া হাবিব হাসানের অনুসারীদের দেখা গেছে।
এরই প্রতিবাদে উত্তরায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা।