বাঙ্গালীর বার্তা: ঢাকায় বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলায় মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা থেকে পারভেজ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলামকে র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এর আগে আলোচিত এই হত্যা মামলায় গত রবিবার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ।
তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)।
এছাড়াও সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজিকে (২৩) গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব।
এরআগে শনিবার বিকালে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ওঠে জাহিদুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় একইদিন রাতে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন– মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী ও ফাহিম। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি আরও ২৫-৩০ জন।