বাঙ্গালীর বার্তা: গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানের সেনাবাহিনী ২৮টি ‘শত্রু বিমান’ শনাক্ত ও ভূপাতিত করার দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, এর মধ্যে একটি ছিল গুপ্তচর ড্রোন, যা ‘সংবেদনশীল’ স্থাপনাগুলো সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল।
ইরানি সেনাবাহিনী এর আগেও একাধিক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর দাবি করেছে।
তবে ইসরায়েল এই দাবি অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, ইরানে তাদের কোনো বিমান বা ক্রু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
‘এখনই ইরানের আত্মসমর্পণ চাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অপরিপক্ক ভাবনা’
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হামেদ মুসাভি মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলজাজিরাকে বলেছেন, ইরান এমনকি পরোক্ষভাবে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী হতে পারে; তবে সেটি নির্ভর করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে কী ধরনের চুক্তি চাইছেন তার ওপর।
তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প এমন একটি চুক্তি চান যা ইরানের আত্মসমর্পণের শামিল হয়, তাহলে আমি মনে করি সেটা কখনোই হবে না। তবে যদি তিনি একটি পারমাণবিক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজতে চান, তাহলে তা বাস্তবসম্মত।”
ট্রাম্পের ‘সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ’-এর আহ্বান প্রসঙ্গে মুসাভি বলেন, “ওয়াশিংটন থেকে আমরা যে বার্তা পাচ্ছি, তা এমন এক সমঝোতার ইঙ্গিত দেয় যা ইরানের পক্ষ থেকে পুরোপুরি আত্মসমর্পণের মতো; এটাই মনে হয় ট্রাম্প চাইছেন।”