স্বাস্থ্য বার্তা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেছেন, ডেঙ্গু এখন আর আগের মতো সহজভাবে মোকাবিলা করার মতো নেই। ডেঙ্গুর ধরন বদলেছে। এখন রোগীদের মধ্যে জটিল উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়।
বুধবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশ অফিসের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সহায়ক বিভিন্ন চিকিৎসা-সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হস্তান্তর করা ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সহায়ক চিকিৎসা-সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে— ৮টি পোর্টেবল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ২১টি বেডসাইড হেমাটোক্রিট মেশিন, ১৬০০ পিস ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী।
ডা. মো. আবু জাফর বলেন, পোর্টেবল আল্ট্রাসনোগ্রাম ও বেডসাইড হেমাটোক্রিট মেশিনের প্রয়োজনীয়তা এখন অনেক বেশি। এই যন্ত্রপাতি থাকলে দ্রুত রোগ নির্ণয় ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়, যা চিকিৎসা কার্যক্রমকে গতিশীল করে এবং জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন থাকাতে হবে। জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মতো চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
এ সময় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জানান, বরগুনায় কিছুদিন আগে ডেঙ্গুর একটি আউটব্রেক দেখা দিলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সারা দেশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। জনসচেতনতা বাড়ানো এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
৯ দিনে ৩২৯৮ ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু ১০
ডেঙ্গু বার্তা: সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৮ জন বরিশাল বিভাগ এবং ৭৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে। আর এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯৪ জন।
বুধবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, জুলাইয়ে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ১০ জন মারা গেছেন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩১৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ৩৭৪ জন, বাকি ৯৪৩ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এই বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন এবং মে মাসে ৩ জন মারা গেছেন।