বাঙ্গালীর বার্তা: অপরাধীদের ধরতে এখন থেকেই দেশজুড়ে বিশেষ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যেকোনো সময় চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে।”
কবে থেকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘“এটা এখন থেকেই।”
তিনি আরো বলেন, “খুন, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মব সহিংসতা, মাদক চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এই কাজে সাধারণ জনগণসহ সবার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সরকার জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যেকোনো কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বৈঠকে আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল সম্প্রতি ঢাকার মিটফোর্ডে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আজকের বৈঠকে মিটফোর্ডের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা একটা সভ্য সমাজে কোনো অবস্থায় মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি জানান, শুধু মিডফোর্ড নয়—সম্প্রতি দেশজুড়ে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে, দ্রুতই তারা অ্যাকশনে যাচ্ছে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বৈঠকে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, চোরাচালান ও সন্ত্রাস দমন, সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, উস্কানিমূলক সাইবার প্রচারণা রোধ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, মাদকের অপব্যবহার রোধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান, গার্মেন্টস শিল্প এলাকায় নিরাপত্তা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা—সবই আলোচনায় এসেছে।
এছাড়া, জুলাই মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলা ও তদন্ত অগ্রগতির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে মিটফোর্ডের ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড।