বাঙ্গালীর বার্তা: পাতানো কোনো ফাঁদে পা না দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ওরা (তারেক রহমান ও বিএনপি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং স্লোগান প্রদানকারীরা) ভাবছে আমরা প্রতিবাদ করি, কনফ্রন্টেশন (মোকাবিলা) করি। এমন অবস্থা তৈরি করি যেন গণতন্ত্রের উত্তরণ ব্যাহত হয়। অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে, সহনশীলতার সাথে, শান্তির সাথে, আমরা আমাদের নেতার যে নির্দেশিত পথ, আমাদের নেত্রীর নির্দিষ্ট পথ, সেই পথ ধরে গণতন্ত্রে দিকে এগিয়ে যাব।”
‘বিএনপি একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি’ উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, “আমার জানা নেই, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এত ত্যাগ স্বীকার করেছে কিনা। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, প্রায় ১৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। গুম শব্দটা আগে জানতাম না। আমেরিকায় ইতিহাস পড়তাম তখন শুনতাম সেখানে হয়।”
আওয়ামী লীগ শাসনের প্রেক্ষাপট তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, “ছাত্রদলের ছেলেরা গ্রামে থাকতে না পেরে ঢাকায় চলে এসেছে, রিকশা চালিয়েছে, অটো চালিয়েছে, বাইক চালিয়েছে, বাসার গার্ডের চাকরি করেছে। ত্যাগেই কিন্তু আজকে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।”
“আজকে সুযোগটা বাংলাদেশের জনগণ করে দিয়েছে। এই কৃতিত্ব আসলে বাংলাদেশের জনগণের”, বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
‘দেশে যা কিছু অর্জন হয়েছে বিএনপির হাতে ধরেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়েছিল যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র তিনি নিয়েছিলেন।”
‘জুলাই আন্দোলনে শহীদ, আহত, পঙ্গু হওয়াদের অবদান আমরা যেন চিরকাল স্মরণ রাখি’ এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার খুব দুঃখ হয়, যখন দেখি আহত ভাইয়েরা বলছে, আমরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। সরকার কেন এখন পর্যন্ত তাদের ব্যবস্থা করেনি?”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র উত্তরণ যেন না ঘটে সেটা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে কাজ করা হচ্ছে। তারেক রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা হচ্ছে। এটা কেন করা হচ্ছে? ভয়ে, তারা ভয় পেয়েছেন। তারেক রহমান আমাদের জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। সুতরাং তিনি যদি আসেন তাহলে তারা যাবে কোথায়? আমি এটুকু আশ্বাস দিতে পারি, তারা তাদের সঠিক জায়গায় থাকবে।”
‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ ঠিক হতেই প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল, “আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে ঠিক করেছেন। এর পরপরই প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। দেখবেন, নির্বাচন অবশ্যই ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের যেকোনো সময়ের মধ্যে নিশ্চয়ই অনুষ্ঠিত হবে।”