বাঙ্গালীর বার্তা: ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাসপদুয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিল্লাত হোসেন (২১) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আফছার উদ্দিন (৩১) নামে অপর একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ১২টার দিকে উপজেলার গুথুমা বিওপির আওতাধীন ২১৬৪/৩-এস নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিল্লাত হোসেন বাসপদুয়া গ্রামের ইউছুফ মিয়ার ছেলে এবং আহত আফছার উদ্দিন একই এলাকার মৃত এয়ার আহমদের সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের আঁধারে সীমান্ত পিলার অতিক্রম করে তারা ভারতের অভ্যন্তরে তারকাঁটার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দুজনই গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্লাত হোসেনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, “বাসপদুয়া সীমান্ত এলাকা চোরাকারবারি প্রবণ। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক হতাহত হওয়ার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মৌখিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।”
বিএসএফ সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দল সীমান্ত অতিক্রমকালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে তাড়া করে। কিন্তু তারা পালানোর পরিবর্তে উল্টো বিএসএফ সদস্যদের দিকে এগিয়ে গেলে বিএসএফ গুলি চালায়। এতে বাংলাদেশের দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। তাদের সঙ্গে আরও একজন ছিল বলে খবর পেয়েছি। সে আত্মগোপনে আছে। যতদূর জেনেছি, তাদের অংশেও (ভারতে) হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।”
বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, “সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বন্ধে আমরা নিয়মিত নজরদারি এবং সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।”