1. bangalirbarta@gmail.com : বাঙ্গালীর বার্তা : বাঙ্গালীর বার্তা
  2. info@www.bangalirbarta.com : বাঙ্গালীর বার্তা :
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

কুমিল্লায় ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা শাহ আলম

পাভেল রহমান জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গালীর বার্তা: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম সরকারকে বহুল আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তিনি স্থানীয় আকবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে মুরাদনগরের পীর কাশিমপুর গ্রামের একটি মসজিদের নিকট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

রাতে এ ঘটনা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, তাকে একটি কালো গাড়িতে সাদা পোশাকের লোকজন উঠিয়ে নিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “ট্রিপল মার্ডার মামলার এজাহারে ২৫ নম্বরে ওই বিএনপির নেতার নাম আছে। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।”

এর আগে গত ৩ জুলাই মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি গ্রামের কিছু লোক কুপিয়ে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করে।

তারা হলেন- রোকসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি ও ছেলে রাসেল। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনকে এজাহারনামীয় এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বাঙ্গরাবাজার থানা মামলা দায়ের করেন। ডিবি জানিয়েছে, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

বিএনপি নেতা শাহ আলমের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ সরকার মুন্না বলেন, “নামাজে যাওয়ার সময় পীর কাশিমপুর গুলশানে চিশতিয়া মসজিদের সামনে থেকে বাবাকে তুলে নেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা উৎকণ্ঠায় ছিলাম। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। থানায় খোঁজখবর নিয়েও কোনো তথ্য পাইনি। তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি অফিস থেকে একজনের মোবাইল দিয়ে কল করে বাবা। কল দিয়ে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করেছে সে কথা জানায়।”

তিনি বলেন, “সকালে ডিবি অফিসে এসে অপেক্ষা করছি। বাবাকে সম্প্রতি এলাকার ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে বলে শুনেছি। এ মামলার এজাহারের ২৫ নম্বরে থাকা যে শাহ আলম, তার বয়স ৪৫ ও পিতা অজ্ঞাত উল্লেখ আছে।”

মুন্না আরো বলেন, “আমার বড় বোনের বয়স ৪০। আমার বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বয়স ও বিস্তারিত পরিচয় এলাকার সবাই জানে। তিনটা হত্যা করলে কারো এলাকায় অবস্থান করার কথা নয়। এছাড়াও গ্রামে ৮-১০ জন শাহ আলম রয়েছে। আমি আমার বাবার মুক্তি দাবি করছি।”

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “শাহ আলম সরকার উপজেলা বিএনপির একজন প্রবীণ নেতা। তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা প্রকাশ্যে হয়েছে। তিনি (শাহ আলম) এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকলেও তাকে এ মামলায় জড়ানো হচ্ছে। আমি তার মুক্তি দাবি করছি।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট