1. bangalirbarta@gmail.com : বাঙ্গালীর বার্তা : বাঙ্গালীর বার্তা
  2. info@www.bangalirbarta.com : বাঙ্গালীর বার্তা :
রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

জাতীয় পার্টির কাউন্সিল সম্পন্ন, যারা নির্বাচিত হলেন

আবুল হাসান মুন্সি রাজধানী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গালীর বার্তা: জাতীয় পার্টির কাউন্সিলে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চেয়ারম‌্যান, এ‌বিএম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাস‌চিব, মু‌জিবুল হক চুন্নু নির্বাহী চেয়ারম‌্যান ও কাজী ফি‌রোজ রশীদ দলের সি‌নিয়র কো-চেয়ারম‌্যান হ‌য়ে‌ছেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিলে সারাদেশ থেকে আগত প্রায় দুই হাজার কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তারা নির্বাচিত হন।

কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে জাতীয় পার্টি গঠিত ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক মো: জহিরুল ইসলাম জহির নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন।

কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, দ‌লের প্রেসি‌ডিয়াম সদস‌্য মোস্তফা আল মাহমুদ মো:আরিফুর রহমান খান।

প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধনী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জেপির) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দেশ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমাদের দেশকে একটা অবস্থানে নিয়ে এসেছিলাম। আজকে সবাই সব কথা বলে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার কথা কেউ বলে না।’’

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘‘এখন সরকার বলছে, সংস্কার করতে হবে। সংস্কার কি আমরা করিনি? শিক্ষানীতি, ওষুধ নীতি, উপজেলা পদ্ধতি- এ সবই সংস্কারের অংশ ছিল। এখন সংস্কারের জন্য বিদেশ থেকে লোক ভাড়া করতে আনতে হয়। তারা কীভাবে সংস্কার করবে? তারা সংস্কারের প্রস্তাবনা দিতে পারে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সংসদ লাগবে। নির্বাচনে কথা উঠছে। কিন্তু কীভাবে নির্বাচন হবে? আদৌ নির্বাচন হবে কিনা জানি না। তাছাড়া দেশে এখন যে পরিবেশ বিজার করছে তাতে নির্বাচন কি দরকার? বড় দুই দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি করে নিলে নির্বাচনের খরচ বাবদ দুই হাজার কোটি টাকা বেচে যায়।’’

তিনি বলেন, ‘‘সারাদেশে দখলবাজি চলছে, বাড়ি দখল, দোকান দখল, হাট-বাজার দখল, সব জায়গায় দখলবাজি হচ্ছে। কোনো কিছুতেই নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। এ সব বন্ধ করতে সরকারের দৃশ্যমান উদ্যোগও চোখে পড়ছে না।’’

সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘‘সরকার সংস্কার করছে, কিন্তু এই সংস্কার তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সংসদ দরকার। আর সংসদের জন্য দরকার জাতীয় নির্বাচন। যদিও সরকার নির্বাচনের কথাও বলছে। কিন্তু আদৌ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’’

ব্যারিস্টার আনিস বলেন, ‘‘অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্যমত দরকার। কিন্তু সরকার তা করছে না। আমি সরকারকে বলবো, বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্যমত তৈরি করুন।’’

দেশে নির্বাচনের পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি জা‌নি‌য়ে আ‌নিস ব‌লেন, ‘‘সারাদেশে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, দখলবাজি চলছে। মানুষ খুন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সাংবাদিকরাও হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। একটি অস্থির পরিবেশ পুরো বাংলাদেশে। এই অবস্থায় কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব?

তিনি বলেন, ‘‘যারা আজ চাঁদাবাজি করছে, তারা সবাই রাজনৈতিক দলের সমর্থক। এই চাঁদাবাজি রাজনৈতিক দলকে বন্ধ করতে হবে।

সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। কিন্তু ক্ষমতায় যারা থাকে তাদের দুর্নীতি চোখে পড়ে না। ক্ষমতা থেকে গেলেই দুর্নীতির মামলা হয়। আবার ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতির মামলা উঠে যায়। কিন্তু ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে কেউ দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি।’’

স্বাগত বক্তব্যে রুহুল আমিন হাওলাদার আরো বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টিকে আমরা নিয়ে যাবো সাধারণ মানুষের কাছে। ফিরিয়ে দেব তৃণমূলের মর্যাদা। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টি কারো একক সম্পত্তি নয়, এই পার্টি জনগণের আশা ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে রাজপথে থাকবে। আমরা দেশের মানুষকে নতুন পথ দেখাতে চাই। জাতীয় পার্টি এখন শুধু বিরোধী শক্তি নয়। আমরা হয়ে উঠতে চাই জাতির বিকল্প নেতৃত্ব। যে নেতৃত্ব, সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আজকের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির বিভক্তিকে ভেঙে নতুন নবযাত্রায় পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টি কে গড়ে তোলার শপথ নিচ্ছি। আদালতের আদেশ ও গঠনতান্ত্রিক উপায়ে আজকের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ থেকে জাতীয় পার্টি কোন একক নেতৃত্বে চলবে না, জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে। এখন থেকে জাতীয় পার্টিতে আর বিভাজনের আশঙ্কা নেই। বরং খন্ডিত জাতীয় পার্টিগুলোকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ করে পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবো।’’

দলটির জাতীয় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আকতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, আরিফুর রহমান, নুরুল ইসলাম মিলন, জিয়াউল হক মৃধা, খান ইসরাফিল খোকনসহ দলটির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা ও বিভিন্ন জেলা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা।

কাউন্সিলে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য, দিদারুল আলম দিদার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির(মতিন) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়,

এ সময় সারাদেশ থেকে আগত কাউন্সিলরদের পাশাপাশি প্রায় তিন হাজারের অধিক ডেলিগেট কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট