1. bangalirbarta@gmail.com : বাঙ্গালীর বার্তা : বাঙ্গালীর বার্তা
  2. info@www.bangalirbarta.com : বাঙ্গালীর বার্তা :
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
এবার পাকিস্তান থেকে আনা ৩২ টন পাখির খাদ্যে ২৫ টনই নিষিদ্ধ পপি বীজ একীভূত পাঁচ ব্যাংক: শুরু হলো প্রক্রিয়া বসানো হলো প্রশাসক সাবেক ইউপি সদস্যকে আটকে রেখে ৭০ লাখ দাবি,পরেরদিন মিলল লাশ নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি এক নজরে দেখে নিন ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা সংকটে পড়েছে পোশাক শিল্প, কার্যাদেশ যাচ্ছে অন্য দেশে মেট্রোরেলে ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাড দ্রুত বদলানোর সিদ্ধান্ত দেশে পুলিশের ওপর একের পর এক হামলা, মাঠ পর্যায়ে কঠোর নির্দেশনা উত্তরায় সার্জেন্টকে হুমকি ‘৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি’ বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাই, সড়কে বিক্ষোভ

খাটের নিচে লুকিয়ে থেকে চিকিৎসককে গলা কেটে হত্যা: পুলিশ

মামুনুর রশীদ জেলা প্রতিনিধি নাটোর
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গালীর বার্তা: নাটোরে আলোচিত চিকিৎসক ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালেরই এক স্টাফকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে জনসেবা ক্লিনিকে নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন প্রেস ব্রিফিং করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর থেকে তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় যৌথভাবে কাজ করার একপর্যায়ে হাসপাতালের স্ট্যাফ আসাদুল ইসলাম আসাদকে মূল আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আসাদ বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাসিন্দা। ২০২৪ সালে এসএসসি পাশের পর তিনি টিএমএসএস মেডিকেলে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি শুরু করেন। পরে নাটোরে ডা. আমিরুল ইসলামের পিএ হিসেবে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন জনসেবা ক্লিনিকে। কর্মরত অবস্থায় হাসপাতালের এক নারী স্ট্যাফকে ঘিরে ডা. আমিরুল, ওই নারী এবং আসাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে গত ২৫ আগস্ট ডা. আমিরুল ওই নারী স্ট্যাফ এবং আসাদকে মারধর করেন এবং চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করেন। এরপর আসাদ বগুড়ায় ফিরে গেলেও তার মধ্যে প্রতিহিংসার জন্ম হয়। প্রতিশোধ নিতে তিনি বগুড়া থেকে একটি বোরকা ও দুটি ছুরি কিনে ফের নাটোরে ফিরে আসেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় বোরকা পরে আসাদ ডা. আমিরুল ইসলামের চেম্বারের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। রাত ১টার দিকে ডাক্তার নিজের কক্ষে ফিরে আসেন এবং ওষুধ সেবন শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে গভীর ঘুমের মধ্যে থাকা ডা. আমিরুলের ওপর আসাদ ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তাকে হত্যা করেন। পরে ভোর সোয়া ৬টার দিকে ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে যান আসাদ। যাওয়ার পথে তিনি বোরকাটি সিংড়া আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এলাকার নদীতে এবং দুটি ছুরি নন্দীগ্রাম এলাকায় ফেলে দেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন আরও বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর থেকেই প্রযুক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করেছি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মূল আসামি আসাদকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আসাদ দীর্ঘদিন ডা. আমিরুল ইসলামের পিএ হিসেবে কাজ করায় তার চলাফেরা ও অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেন। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। যে বিষয়গুলো সামনে এসেছে এবং আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিও দিতে রাজি হয়েছেন। মূলত ক্ষোভের বসেই তিনি এ কাজ করেছেন।’

গতকাল সোমবার নাটোরে জনসেবা ক্লিনিক থেকে ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম নামের এক চিকিৎসকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আমিরুল ইসলাম ওই ক্লিনিকের মালিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট