বাঙ্গালীর বার্তা: নিখোঁজের তিন দিন পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও দলটির সুনামগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর (৫২) লাশ নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শরিফপুর বাট্টা এলাকার মরা সুরমা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
মাওলানা মুশতাক জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার বড়মোহা দারুল উলুম ইসলামিয়া আরবিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন। তিনি পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং সুনামগঞ্জ-৩ (শান্তিগঞ্জ–জগন্নাথপুর) আসনে জমিয়তের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরীর চাচাতো ভাই।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ফোনে স্ত্রী রুবি বেগমকে মাওলানা মুশতাক জানিয়েছিলেন এক ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরবেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ ছিল। বাড়িতে না ফেরায় স্বজনের বাড়িতে স্বামীর খোঁজ নেন রুবি বেগম।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শান্তিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রুবি বেগম। আজ শুক্রবার সকালে দিরাই উপজেলার শরিফপুর বাট্টা এলাকার নদীতে মাওলানা মুশতাকের ভাসমান লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক তায়্যিবুর রহমান চৌধুরী রাইজিংবিডি ডটকম-কে বলেন, “মাওলানা মুশতাক আহমদের কোনো শত্রু বা প্রতিপক্ষ আছে এটা আমাদের সঠিক জানা নেই। তাকে আমরা সবশেষ দিরাই রাস্তা পয়েন্টে ভালো অবস্থায় দেখেছি একটি সিসিটিভি ফুটেজে। সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে থানায় জিডি করেছি, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রশাসন আমাদের কোনো আশ্বাস দিতে পারেনি। আজ সকালে তার লাশ পাওয়া গেছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা মনে করছি, তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমাদের দাবি, যারা মুশতাককে খুন করেছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেনো ঘটনার সত্যতা বের করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। আমরা মরদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় পেয়েছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।”