বাঙ্গালীর বার্তা: আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ও মৃত্যুর দিবস। মুসলমানরা দরুদ, সালাম, ফাতেহা পাঠ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে, সৌদী আরবের মক্কা নগরীতে জন্ম নেন নবী করিম (সা.)। শৈশব থেকেই তিনি সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই মক্কার মানুষ তাকে ‘আল-আমিন’ নামে ডাকতো।
৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় তার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহি আসে। এরপর থেকে তিনি আল্লাহর একত্ববাদ, ন্যায়, সাম্য ও মানবকল্যাণের দাওয়াত দিতে থাকেন। সুদীর্ঘ ২৩ বছর তিনি ইসলামের শিক্ষা প্রচার করেন।
যদিও তার জন্মতারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে, তবে ১২ রবিউল আউয়ালেই তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে কোনো মতবিরোধ নেই। ১১ হিজরি (৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ) সালে বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরের মাসে ১২ রবিউল আওয়াল তারিখে তিনি ইন্তেকাল করেন। আলী (রাঃ) তাকে গোসল ও কাফন দেন। আয়েশা (রাঃ) এর ঘরে, যেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, জানাজা শেষে সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
প্রিয় নবীর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজকের এই দিনটি মুসলমানদের কাছে এক দিকে আনন্দের। অপরদিকে বেদনার। দিনটি উপলক্ষ্যে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ, জিকির ও বিশেষ মোনাজাত করে তারা।
মহানবী মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ (সা.)-এর পৃথিবীতে আগমন নিঃসন্দেহে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা। তার পবিত্র জীবনের প্রতিটি দিক মানবতার জন্য পথনির্দেশক।
১২ রবিউল আউয়ালকে ঘিরে মুসলমানদের করণীয় হলো নবীজির জীবন ও শিক্ষাকে জানা। তার নীতি-আদর্শ অনুসরণ করা।