বাঙ্গালীর বার্তা: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থিত অবরোধকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুর ২টা থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১৪৪ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
শনিবার সকাল থেকেই অবরোধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে পিকেটিংকারীরা সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। সকাল ৯টার দিকে সদরের চেঙ্গী এলাকায় এক টমটম চালককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ ছাড়া আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকায় একটি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। সকাল থেকেই খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী ব্রিজ, স্টেডিয়াম এলাকা, গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি যৌথ খামার এলাকায় পিকেটিং করে সড়কে টায়ারে আগুন দেয়।
অবরোধের ফলে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে জেলার ভেতরে চলাচলকারী যানবাহন। অবরোধে ঢাকাসহ দূরপাল্লার নৈশকোচের অনেক গাড়ি বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। তবে জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা শহরে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি-সাজেক পরিবহন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মো. আরিফ জানান, গতকাল শুক্রবার অন্তত ২০০টির বেশি গাড়ি সাজেকে গেছে। যাতে প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে।
খাগড়াছড়ির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী ওয়াজেদ আলী জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।