বাঙ্গালীর বার্তা: কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক জামায়াত কর্মী খুন হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন একজন। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর পৌনে ১টায় চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাছিমাকাটাস্থ সিকদারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আরিফুল ইসলাম (৪৮) একই এলাকার আলতাফ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি জামায়াত ইসলামীর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির বায়তুল মাল সম্পাদক।
ঘটনায় আহত খায়রুল আলম নিহতের জেঠাতো ভাই এবং একই এলাকার জামাল হোসেন চৌধুরীর ছেলে।
এ দিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন: ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুজন মিয়া ( ৩৭ ) একই এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে। এ ছাড়া সুজন মিয়ার মা ও বোনসহ চারজনকে আটক করা হলেও তাদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জমির মালিকানা নিয়ে আরিফুল ইসলাম ও সুজন মিয়ার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সামাজিক সালিশও হয়। কিন্তু উভয়পক্ষ বিচার না মানায় তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো।’
ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে আরিফুল ইসলাম ও সুজন মিয়ার পরিবারের লোকজনের মধ্যে তর্কাতর্কির হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম ও তার এক জেঠাতো ভাই আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আরিফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে সেনা বাহিনী একটি দলও ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ঘটনার মূল অভিযুক্ত সুজন মিয়ার বাড়ি ঘিরে ফেললে তিনি কৌশলে পালানোর চেষ্টা চালান। এতে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার মা ও বোনসহ আরও চারজনকে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে।’
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।