1. bangalirbarta@gmail.com : বাঙ্গালীর বার্তা : বাঙ্গালীর বার্তা
  2. info@www.bangalirbarta.com : বাঙ্গালীর বার্তা :
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাবেক এমপি পিন্টু’র মৃত্যুর রহস্য নিয়ে আঙ্গুল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দিকে একটি দলের কর্মীদের গোপনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে অভিযোগে কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে : সেনাবাহিনী নাহিদের বক্তব্যে জুলকারনাইনের পাঁচ প্রশ্ন! জুলাই যোদ্ধাদের সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ফিরছে নির্দলীয়তা, থাকছে না দলীয় প্রতীক এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা ঘোষণা মিয়ানমারকে কি চীনের হাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাম্প? গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে সংঘাত: ১৫ মামলায় ১৬ হাজার ২০৮ জন আসামি প্রথম পর্বের আলোচনায় যে ৬২ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছান রাজনৈতিক দল গুলো ভোটারের ভিত্তিতে বাগেরহাটে কমছে নির্বাচনী আসন,বাড়ছে গাজীপুরে : ইসি

“আমাদের আছে একটা অসীম সমুদ্র, সেটা সোনার খনি”

তৌফিক ই ইলাহি বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গালীর বার্তা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “আমাদের একটা অসীম সমুদ্র আছে। সমুদ্র একটা সোনার খনি। আমরা কখনো এটিকে সোনার খনি হিসেবে দেখিনি। আমাদের সেখানে অল্প কিছু মেরিটাইম কার্যক্রম ছাড়া কিছুই নেই।”

তিনি বলেন, “সমুদ্রের ওপর নির্ভর করে আমাদের নতুন একটি অর্থনীতি তৈরির জন্য এটি সুবর্ণ সুযোগ। এই সমুদ্র বাকি বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ দিচ্ছে। জাপান আমাদের গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজের সঙ্গে যুক্ত।”

বুধবার (২৮ মে) জাপানের স্থানীয় সময় রাতে টোকিওর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, “জাপানের একার পক্ষে সম্ভব, আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে অর্থায়ন করে এখানকার মানুষের ভাগ্য বদলে দেওয়া। এই অঞ্চলের অর্থনীতি রাতারাতি বদলে যাবে। আমরা জাপানের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চাই। আমাদের জাপানের সহায়তা প্রয়োজন। আমরা এখনো জানি না, কতটুকু করতে পারব, তবে আশা রাখি, আমরা সফল হব।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ছাত্র ও তরুণদের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ একটি নতুন বাংলাদেশ হিসেবে উদীয়মান হয়েছে। সবকিছু প্রত্যাখ্যান করে তারা জবাব দিল, যথেষ্ট হয়েছে। তারা রাস্তায় মরল, কিন্তু পিছু হটেনি। যতই গুলি করা হচ্ছিল, ততই তরুণরা রাজপথে নেমে আসছিল। এক সময় ঢাকার দিকে জনস্রোত এগিয়ে এল। এতে বিগত সরকার মনে করল, তাদের বাঁচার আর পথ নেই। সে জন্য পালিয়ে গেল।”

ড. ইউনূস বলেন, “ছাত্ররা ঘোষণা দিল, নতুন বাংলাদেশ গড়ার। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হল, সেই কাজকে বাস্তবে রূপান্তর করার। কাজটি খুবই কঠিন। সবাই সবকিছুতে সম্মত হয় না। তবে, দেখে ভালো লাগছে, জনগণের চাওয়াকে তারা বুঝতে পেরেছে। পুরো দেশকে সবকিছুতে রাজি করাতে একটি আওয়াজ যথেষ্ট।”

যুদ্ধ-বিধ্বস্তের মতো একটা দেশ হয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, “প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক, ব্যাংকিং, ব্যবসা সবদিকই বিধ্বস্ত ছিল। বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। ব্যাংক খালি হয়ে গেছিল। কোথা থেকে শুরু করতে হবে জানা ছিল না।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “১৫ বছরের ধ্বংসযজ্ঞ, অপশাসন, গুম ও ভয়ানক যত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো থেকে বেরিয়ে আমাদের নতুন কিছু স্মৃতি তৈরি করার প্রয়োজন ছিল। ১০ মাস এসবের মধ্যে দিয়ে গেছে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, অনেক পথ পেরিয়ে এসেছি।”

“ব্যাংকগুলোকে ঠিক করা হচ্ছে, বিদেশি ঋণ শোধ করছি, বাইরে থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করছি। এখন কিছুটা স্বস্তির জায়গায় আছি আমরা। এখন কিছুটা শ্বাস নেওয়া যাচ্ছে। আমাদের তিনটি কাজ দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সংস্কার। আগে যা হয়েছে সবই ভুল”, যোগ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটা আসলে নতুন একটা রাষ্ট্র করার মতো বিষয়। দ্বিতীয় কাজ হলো, তাদের বিচার, যারা এসবের জন্য দায়ী। সব সাক্ষ্য প্রমাণ একত্রিত করে বিচার নিশ্চিত করা এটা খুবই কঠিন কাজ। তৃতীয় কাজ নির্বাচন। নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে, আমরা তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করে দেব।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক নেতারা অনেক অধৈর্য, তারা বারবার নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে, ক্ষমতায় বসতে চাচ্ছে। আমি তাই অনেক সময় ধরেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছি, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে। এটা নির্ভর করবে কত দ্রুত আমরা সংস্কারগুলো করতে পারি।”

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “যদি সংস্কারকাজ ধীর গতিতে হয়, তাহলে সময় বেশি লাগবে। বেশি সময় বলতে আবার অনির্দিষ্টকাল না, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই। তরুণরা এখনো অধৈর্য, তারা এখনই ফলাফল দেখতে চায়।”

জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ একটি চমৎকার দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ছোট একটি দেশে যেখানে ১৮ কোটি মানুষের ঘর। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ একটা দেশ। এই জনসংখ্যার অর্ধেকই তরুণ। এটি আরেকটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরে। তারা সবাই প্রযুক্তির কাছাকাছি আছে। সবার কাছে স্মার্ট ফোন আছে, ইন্টারনেট আছে। পুরো বিশ্ব সম্পর্কে তাদের ধারণা আছে। সুতরাং, তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনেক দূরের। বিগত সরকার তাদের খুশি করার জন্য আগ্রহী ছিল না, কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের খুশি করার কাজে ব্যস্ত ছিল।”

তিনি আরো বলেন, “জাপানে যখন আসছিলাম, তখন শুনলাম এ দেশে নাকি লোক লাগবে। আমি বললাম, এটাই সুযোগ নিয়ে নিন। আমাদের আনুষ্ঠানিক আলোচনায় এটি নিয়েই কথা বলব, এই তরুণদের কীভাবে জাপানে নিয়ে আসা যায়। আপনাদের লোক দরকার, আমাদের লোক আছে। এটি বাংলাদেশকে দুইভাবে লাভবান করবে। আয়ের মাধ্যমে জীবনমান বদলে যাবে, এখান থেকে শিখবে এবং একইসঙ্গে প্রযুক্তির সম্মুখভাগে কাজ করার সুযোগ পাবে।”

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে অত্যন্ত গভীরভাবে যুক্ত আছে। অনেক বড় বড় প্রকল্প আছে বাংলাদেশে। আমরা এ জন্য জাপানের কাছে ঋণী। তবে, এখানে আরো সুযোগ আছে। সেগুলো নিয়ে আলাপ করব।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট