1. bangalirbarta@gmail.com : বাঙ্গালীর বার্তা : বাঙ্গালীর বার্তা
  2. info@www.bangalirbarta.com : বাঙ্গালীর বার্তা :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকি: সেমিফাইনালে বাংলাদেশ যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারে অভিযান, পরবর্তীতে বাড়ির পাশে মিলল লাশ বিএনপির কাউন্সিলে আ.লীগ নেতারা,তৃণমূলে ক্ষোভ প্রকাশ ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে হতাশা ও উৎকণ্ঠা: মির্জা ফখরুল প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার শেষে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের থানায় ঢুকে কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা ভুয়া এসআই তানিয়া ‘হায় হাসান,হায় হোসেন’ ধ্বনিতে তাজিয়া মিছিল রাজধানীর বুকে স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ, বেড়েছে পড়াশোনার মান: গবেষণা সঞ্চয়পত্রে মুনাফা বাড়িয়ে দিলে ব্যাংকে কেউ টাকা রাখবে না: অর্থ উপদেষ্টা

ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্য

মোঃ আলাউদ্দীন শেখ রাজধানী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গালীর বার্তা: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে স্থাপিত ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাস্কর্যটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনের আদেশে ছুটি চলাকালীন সময়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশেই ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে ভাস্কর্যটি।

ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিলো বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ ভবন এবং পুরাতন কলা অনুষদ ভবনের মাঝামাঝি পুকুরের অংশে।

জানা যায়, চার কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হয়। অনুষদ ভবনের সামনের পুকুরটির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল ভাস্কর্যটি। তবে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন মহল ও নতুন প্রশাসনের বিভিন্ন জনের আপত্তির কারণেই ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ভাস্কর্যটি স্থাপন করেছিলেন দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের দায়ে অভিযুক্ত তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান তুষার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে তৈরি ‘অঞ্জলি লহ মোর’ নামক যে স্থাপনাটি, তা আজ প্রশাসনের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হচ্ছে- যা খুবই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যবর্ধনের স্থাপনাগুলোর মধ্যে এটি ছিল অন্যতম।”

তিনি আরো বলেন, “নতুন-নতুন স্থাপনার ভিড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নান্দনিক সৌন্দর্যবর্ধনের স্থানগুলো আজকাল আর তেমন দেখা যায় না। ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত ছাড়াও অন্যভাবে এটি নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করা যেত, যা অধিক যুক্তিযুক্ত হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ হলাম।”

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমি অবগত নই। পরিকল্পনা দপ্তর ও প্রকৌশল দপ্তর ভালো বলতে পারবে।”

প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে আমি অবগত না। পরিকল্পনা দপ্তর ও প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলুন।”

ভাস্কর্য ভাঙার বিষয় সম্পর্কে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “ভাস্কর্যটি বর্তমান প্রশাসন গ্রহণ করছে না। তাই এটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। উপাচার্য স্যারের পক্ষ থেকেই সিদ্ধান্ত এসেছে। এটির বিষয়ে প্রথমে ছাত্ররাই আপত্তি জানিয়েছিল। তারাই ভাঙার চেষ্টা করেছিল ৫ আগস্টের পর।”

তবে এমন কোন ধরনের আপত্তি ছাত্রদের পক্ষ থেকে জানানোর বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। সংগঠন দুটির নেতারা জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে এমন কোন দাবি জানানো হয়নি।

উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করা ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী বলেন, “এ বিষয়ে অনেক আগেই ডিনবৃন্দ ও সবাইকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এটা সম্ভবত সেই সিদ্ধান্তের কারণেই হচ্ছে। তখন তো অনেকগুলো বিতর্কিত কর্মকাণ্ড হয়েছিল, কেউ কেউ ভাস্কর্যটি নিয়ে তীব্রভাবে আপত্তি জানিয়েছিল। ফলে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট