1. bangalirbarta@gmail.com : বাঙ্গালীর বার্তা : বাঙ্গালীর বার্তা
  2. info@www.bangalirbarta.com : বাঙ্গালীর বার্তা :
রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এনসিপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুঁশিয়ারি বান্দরবান ছাত্র সমাজের চট্টগ্রামে এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা অনূর্ধ্ব-১৯: দ. আফ্রিকাকে আবারও গুটিয়ে দিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ জেলে বন্ধুকে গাঁজা দিতে গিয়ে আটক, উপহার পেলেন ১০ দিনের জেল গত নয় মাসে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন কিডনি দান করা সেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী তারেক খুলনায় অতিরিক্ত মদপানে ৪ জনের মৃত্যু কক্সবাজারের চকরিয়ায় এনসিপির পদযাত্রায় বিএনপির বাধা নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই, সঠিক সময়েই হবে: প্রেস সচিব কেন্দ্র দখল বা টাকা দিয়ে ভোট কেনা যাবে না তাই অনেকে পিআর পদ্ধতি চায় না: তাহের

গত নয় মাসে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা

শামীম সরয়ার বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গালীর বার্তা: সরকারি ঋণের স্থিতি এখন ২০ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। গত নয় মাসেই ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯২৮ কোটি টাকায়। এর মধ্যে দেশীয় ঋণের পরিমাণ ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা (৫৮ শতাংশ) এবং বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৮ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা (৪২ শতাংশ)।

গত বছরের জুনে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। ফলে নয় মাসে সরকারের মোট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা বা শতকরা ৬ শতাংশ।

সম্প্রতি অর্থ বিভাগের প্রকাশিত ‘ডেট বুলেটিন’-এ তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থ বিভাগের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও বাংলাদেশের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ‘মডারেট’ বা মধ্যমান পর্যায়ে রয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ‘সেইফ জোন’-এর মধ্যে থাকলেও, ক্রমবর্ধমান ঋণের পরিমাণ, নমনীয় ঋণের পরিবর্তে অনমনীয় ঋণের অংশ বাড়া এবং সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ‘লাল পতাকা’ দেখাচ্ছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশীয় ঋণের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ২০২৫ সালের মার্চে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের জুনে ছিল ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। ২০২৪ সালের জুনে যেখানে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, তা ২০২৫ সালের মার্চে নেমে এসেছে ২৪ হাজার ৫০৭ কোটিতে।

একই সময়ে সুদের হারেও রয়েছে ঊর্ধ্বগতি। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বেড়েছে ৭ শতাংশ এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বেড়েছে ২৩ শতাংশ। বিশেষ করে বিল ও বন্ডের মাধ্যমে অধিকহারে ঋণ নেওয়ার কারণে এখাতে সুদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৫ শতাংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ছিল ৬৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা। এক বছর পর, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ১৬৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এই সময়ের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বেড়েছে ৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা।

এছাড়া, ট্রেজারি সিকিউরিটিজে সুদ ব্যয় বেড়েছে ৪৫ শতাংশ বা ১৩ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে এই খাতে ব্যয় ছিল ২৯ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকায়। তবে সঞ্চয়পত্রে সরকারের সুদ ব্যয় এ সময়ে ২৫ শতাংশ কমেছে।

অর্থ বিভাগ থেকে গত জুনে প্রকাশিত মধ্যমেয়াদি ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশলে বলা হয়েছে, বিগত বছরগুলোতে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ায় বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অনুদান ও নমনীয় ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমে এসেছে। ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে তুলনামূলকভাবে উচ্চ সুদের হার এবং স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক ঋণের ওপর বেশি নির্ভর করতে হতে পারে।

এ প্রেক্ষাপটে ঋণ ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আহরণ এবং রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণে কার্যকর সংস্কার না আনতে পারলে ঋণের চাপ ও ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশল বাস্তবায়নে সরকার সফল হলে, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে অর্থ বিভাগ মনে করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট