বাঙ্গালীর বার্তা: নেত্রকোনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুরমৃত্যুকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক ও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যুর পরিবর্তে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে—এমন অভিযোগে একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে গভীর ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, সাবেক এমপি পিন্টুকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্যাতন করে হত্যা করেছেন। এই দাবির সপক্ষে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তার নিথর দেহে, বিশেষ করে বুক, হাত এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে গভীর কালো দাগ ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছবিটি দেখিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অসুস্থতাজনিত মৃত্যু হলে শরীরে এমন ভয়াবহ আঘাতের চিহ্ন থাকবে কেন?
ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীরা লিখেছেন, “নেত্রকোনার এমপি ইফখারুল উদ্দিন পিন্টু ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, অথচ বলা হচ্ছে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন—এটা যদি সত্য হয়, তবে এর গভীর তদন্ত দাবি করি।” অনেকেই এই মৃত্যুকে “রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড” বলে অভিযোগ করছেন এবং এর পেছনের সত্য উন্মোচনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে, তার পরিবারের পক্ষ থেকে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে অসুস্থতার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ছবিটি সেই দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এবং জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর জানাযার ছবি
সাবেক এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুর আসল কারণ কী—অসুস্থতা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—তা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ওঠা এই গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো সরকারি বা সামরিক কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে ঘটনাটির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে দ্রুত একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে আসল রহস্য উন্মোচন করা হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সকলে।