বাঙ্গালীর বার্তা: শেরপুরের নালিতাবাড়িতে নলকূপ খনন করার সময় প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পেয়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলার রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামের হোটেল শ্রমিক নূর মোহাম্মদের বাড়িতে নলকূপ বোরিং করার সময় গ্যাস বেরিয়ে আসে বলে জানান তারা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে গাছগড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় অনেক মানুষ জটলা করে আছেন নূর মোহাম্মদের বাড়িতে।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে মিস্ত্রিরা টিউবওয়েলের বোরিং শুরু করেন। দেড় ইঞ্চি পাইপ দিয়ে ৫৫ ফুট বোরিংয়ের পর পাইপ দিয়ে অনবরত গ্যাস আসতে থাকে। এরপর নতুন করে আরো দুইটি স্থানে ৪০ ফুট বোরিং করার পরেও গ্যাস পাওয়া যায়। পরে মিস্ত্রিরা দুইটি বোরিং মাটি চাপা দিয়ে রাখলেও একটি দিয়ে অনবরত গ্যাস বের হতে থাকে। এই গ্যাস দিয়ে গত ১০ দিন ধরে খাবার রান্না করছেন অনেকে।
বাড়ির মালিক নূর মোহাম্মদ বলেন, “গ্যাস একটি ঝুকিপূর্ণ জিনিস। মাটির নিচে কি পরিমাণ গ্যাস আছে এটা তো বুঝা যায় না। এই আগুন যদি মানুষের ক্ষতি করে তাহলে তো বিপদ। সরকার যদি এই জায়গা খনন করে দেখতো, তাহলে আমি নিশ্চিন্ত হতাম। আমিতো ভয়ে আছি। কখন যে কোন বিপদ হয় আল্লাহ ভালো জানেন।”

স্থানীয় যুবক শরিফুল ইসলাম বলেন, “গ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এই সম্পদ সরকারের। সাম্প্রতিক সময়ে পাশ্ববর্তী জামালপুরে গ্যাসের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। এখানেও গ্যাস থাকতে পারে। তাই সরকারের এদিকে নজর দেওয়া দরকার। সরকার অনুসন্ধান করলে আমাদের সেই কাঙ্খিত সোনার হরিণ মিলতেও পারে।”
রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ হযরত বলেন, “গ্যাস বের হওয়ার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে আমি সত্যতা পেয়েছি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) অবগত করে ভিডিও পাঠিয়েছি। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। কখন কি হয় বুঝা মুসকিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থা দরকার।”
নালিতাবাড়ির ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি বলেন, “বিষয়টি স্থানীয়ভাবে অবগত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”