বাঙ্গালীর বার্তা: মেট্রোরেলের কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি পিয়ারের বিয়ারিং প্যাড পুনরায় পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডগুলো দ্রুত পরিবর্তন করা হবে এবং কন্ট্রাক্টরদের ইতিমধ্যে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) উত্তরা ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, গত বছরের দুর্ঘটনার পর পুরো করিডোরজুড়ে ড্রোন সার্ভে ও ফিজিক্যাল ইনস্পেকশন করা হয়েছে। চারটি বিষয়- ডিফরমেশন, ডিসপ্লেসমেন্ট, কমপ্রেশন ও স্ট্রাকচারাল ক্ষতি- বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কিছু পিয়ারে ডিফরমেশন পাওয়া গেছে, যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে রেক্টিফাই করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যেসব স্থানে সামান্য ডিসপ্লেসমেন্ট পাওয়া গেছে, সেখানে আপাতত স্ক্রু ফিক্সিং ও বেরিকেড বসানো হয়েছে। তবে স্থায়ী সমাধান হবে বেয়ারিং রিপ্লেসমেন্ট।
একই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে। নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার, কাজ বুঝে না নেওয়া কিংবা কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা থেকেও সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে তদন্তের পরই সুনির্দিষ্টভাবে কারণ বলা যাবে।
ফারুক আহমেদ বলেন, “আমাদের প্রথম দায়িত্ব যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে নতুন প্রকল্পগুলোর নকশা পরিবর্তন করা হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এখনো পূর্ণাঙ্গ কাজ বুঝিয়ে দেয়নি, যা দেরির অন্যতম কারণ। দায়ীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি আরো জানান, নতুনভাবে চার থেকে পাঁচজন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। মেট্রোরেলকে টেকসই ও স্মার্ট ফাইন্যান্সিং কাঠামোয় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজনৈতিক দল ও সাধারণ নাগরিকদের পিলারে পোস্টার না লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্র্যাক বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো চিহ্নিত করতে এসব বাধা সৃষ্টি করছে।