বাঙ্গালীর বার্তা: তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায়, বেইজিং তার নাগরিকদের দেশটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই চীনা ভ্রমণকারীরা জাপানগামী প্রায় ৪ লাখ ৯১ হাজার ফ্লাইট টিকিট বাতিল করেছেন।
স্বাধীন বিশ্লেষক লি হানমিংয়ের গবেষণার ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে যে, জাপানে বুকিং করা প্রায় ৩২ শতাংশ টিকিট বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমস।
লি জানান, রবিবার ৮২.১৪ শতাংশ এবং সোমবার ৭৫.৬ শতাংশ টিকিট বাতিল করা হয়েছে। তিনি কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পরে সাম্প্রতিক টিকিট বাতিলের এই সংখ্যাকে সবচেয়ে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছেন।
লি আরো জানান, রবিবার টিকিট বাতিলের সংখ্যা নতুন বুকিংয়ের তুলনায় ২৭ গুণ বেশি ছিল। এর কারণ হলো, নিরাপত্তা নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার বেইজিং জাপানে তাদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করার পর বিমান সংস্থাগুলো জাপানগামী ফ্লাইটের জন্য সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে শুরু করে।
নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনার শুরু হয় জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির একটি মন্তব্যকে ঘিরে। চলতি মাসের শুরুতে পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “চীন যদি তাইওয়ানে আক্রমণ চালায়, তাহলে তা জাপানের নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি এবং জাপান সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।”
রবিবার বেইজিং সতর্ক করে বলেছে, তাইওয়ান ইস্যুতে জাপান সামরিক হস্তক্ষেপ করলে তারা ‘ভয়াবহ পরাজয়’ বরণ করবে। পাশাপাশি জাপানে ভ্রমণের বিরুদ্ধে চীনা নাগরিকদের সতর্কও করা হয়। আর এটি জাপানের পর্যটনব্যবসার জন্য বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে।
জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “চীনের ভ্রমণ সতর্কতা ‘কৌশলগত, পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক উন্নয়নের বিস্তৃত দিকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’। আমরা চীনা পক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দৃঢ় অনুরোধ করেছি।”