1. bangalirbarta@gmail.com : বাঙ্গালীর বার্তা : বাঙ্গালীর বার্তা
  2. info@www.bangalirbarta.com : বাঙ্গালীর বার্তা :
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন

বিদ্যুৎ খাতে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন

শিবু প্রসাদ দত্ত জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

বাঙ্গালীর বার্তা: সাধারণত ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই গরম পড়তে শুরু করে। যদিও এ বছর এপ্রিলে এসেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আছে। তবে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তীব্র গরমের আশঙ্কা রয়েছে। আর এ সময়কালে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি আমদানি করা তেল ও গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অর্থ সংকটে রয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং বাংলাদেশ তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। সংস্থা দুটি এলএনজি ও জ্বালানি তেলের আমদানি ও জোগান নিশ্চিত করতে জ্বালানি বিভাগের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শর্ত সাপেক্ষে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। এর মধ্যে বিপিসির অধীনে ২ হাজার কোটি টাকা এবং পেট্রোবাংলার অধীনে দেড় হাজার কোটি টাকা। যদিও এর আগে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার জন্য আবেদন করেছিল পেট্রোবাংলা।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গরমের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিপিসির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির পাওনা পরিশোধ এবং গ্রীষ্মকালীন সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা যখন সর্বোচ্চ থাকে, তখন জ¦ালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করে বিপিসি। জ্বালানি বিভাগের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় সেই ঋণ মঞ্জুর করেছে। এক বছরের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মঞ্জুরকৃত ঋণে বলা হয়েছে- বিপিসির আইন অনুযায়ী লাভজনক হিসেবে সে টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে অর্থ প্রদান করতে হবে। ঋণ প্রদান ও পরিশোধে অর্থ বিভাগের কোনো দায় দায়িত্ব থাকবে না। এ ঋণ জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধের বাইরে অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না।

এদিকে সেচ মৌসুমে ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে এলএনজি আমদানির ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যে চলতি এপ্রিল থেকে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে চার কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির ব্যয় নির্বাহের জন্য চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের ভর্তুকি ও প্রণোদনা ব্যবস্থাপনার আওতায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এ অর্থ এলএনজি আমদানির কাজে ব্যয় করতে হবে। অর্থ বিভাগ থেকে ঋণ প্রদানের শর্ত হিসেবে দুটি সংস্থাকেই বলা হয়েছেÑ খরচের পূর্বের নিরীক্ষা রিপোর্ট প্রদান নিশ্চিত করতে।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দপ্তর-সংস্থাগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ ছাড় দিতে নানাদিক বিবেচনা করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগেই পেট্রোবাংলা বিদেশ থেকে নিয়মিত এলএনজি আমদানির পাশাপাশি অতিরিক্ত চার কার্গো এলএনজি আমদানি করতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। অতিরিক্ত চার কার্গো এলএনজি আমদানির উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে- চলমান রমজান মাস, গ্রীষ্মকালীন সময়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ এবং সেচকালীন সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এলএনজি আমদানি ও সরবরাহ করতে হবে।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চার কার্গো এলএনজি আমদানি করা হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বা পিডিবিতে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ কতটুকু বাড়বে, সেটা স্পষ্ট জানতে চেয়ে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পেট্রোবাংলাকে বলা হয়েছে, ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হলে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ কত মিলিয়ন ঘনফুট বাড়বে, সেটা স্পষ্ট করে জানাতে।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পিডিবিকে পাঠানো চিঠির সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত বিলের পাশাপাশি অতিরিক্ত চার কার্গো এলএনজি আমদানি করতে পিডিবির কাছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা চাইলে সেটা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সংকটকালীন সময়ে পেট্রোবাংলা কতটুকু বাড়তি গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে, এর সুনির্দিষ্ট উল্লেখ চায় পিডিবি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ করপোরেশন ( পেট্রোবাংলা) নানামুখী সংকটে আছে। প্রতিনিয়ত দেশে গ্যাসের সংকট বাড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। রয়েছে চরম আর্থিক সংকট। একদিকে নিজস্ব উৎস থেকে গ্যাসের জোগান কমছে, অন্যদিকে আর্থিক সংকটে আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এতদিন পেট্রোবাংলার আর্থিক সংকট না থাকলেও ডলার সংকটে এলএনজি সরবরাহকারী ও আন্তর্জাতিক তেল গ্যাস কোম্পানিগুলোকে (আইওসি) পাওনা টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছিল না। অন্যদিকে জ্বা্লানি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এখন ডলারের সংস্থান থাকলেও আর্থিক সংকটে পড়েছে পেট্রোবাংলা। আর্থিক সংকটের কারণে গ্যাস আমদানি ও সরবরাহ নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কারণ, একাধিক এলএনজি সরবরাহকারী এবং গ্যাস সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানি পেট্রোবাংলাকে জানিয়েছে- যদি নিয়মিত তাদের পাওনা পরিশোধ না করা হয়, তবে চুক্তি বাতিল করা হবে। পেট্রোবাংলা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১৫ কার্গো এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যদিও সরকার ক্রমান্বয়ে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধ করে দায় কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট