বাঙ্গালীর বার্তা: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন চেয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দিয়েছিলেন।তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা ওই রুলে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমাবেশ আয়োজন করে ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠন। এ সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে সামনে আসেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। ওই সমাবেশের পর গত বছরের ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। চিন্ময় ছাড়াও মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
পরে গত বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় দাসকে গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন ২৬ নভেম্বর জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করে তার অনুসারীরা।
গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।