বাঙ্গালীর বার্তা: পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে, ভারত এবার পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ করাচি বন্দরে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুসারে, বন্দরের কাছে দক্ষিণ পাকিস্তানের করাচি শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এর আগে, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর এবং নৌ সদর দপ্তর করাচিতে দুটি হামলা চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ করেছিল। ফের আবার করাচিতে একইভাবে আঘাত হানল ভারত।
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীয় নৌবাহিনী করাচি নৌঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে, যার ফলে পাকিস্তানের উপকূলরেখায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আরব সাগরে থাকা ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত থেকে পাকিস্তানের করাচি এবং ওরমারা বন্দরে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ফলে এই দুই জায়গাতেই আগুন ধরে গেছে। ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে বন্দর শহরগুলো। আতঙ্কিত বাসিন্দারা উপকূলীয় অঞ্চল ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেছে।
ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান বেসামরিক ও সামরিক এলাকা লক্ষ্য করে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং কামানের তীব্র গোলাবর্ষণ করে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি আরো বাড়িয়ে তুলেছে বলে অভিযোগ করে দিল্লি। তবে ভারতে হামলা চালানোর তথ্য নাচক করে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেছেন, “পাকিস্তান যখন হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেবে, তখন সারা বিশ্ব জানতে পারবে। পাকিস্তান কোনো পদক্ষেপ নিলে তা অস্বীকার করবে না।”
এদিকে হামলার আবহে ভারতের ২৪টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে- অমৃতসর, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, লুধিয়ানা, ভুন্টার, কিষেণগড়, পটীয়লা, সিমলা, কাংড়া-গগ্গল, ভাতিণ্ডা, জয়সলমেঢ়, জোধপুর, বিকানেল, হলওয়ারা, পঠানকোট, জম্মু, লেহ্, মুন্দ্রা, জামনগর, হিরাসর, পোরবন্দর, কেশোড়, কান্দলা এবং ভূজ।