আন্তর্জাতিক বার্তা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক রহস্যজনক বার্তা দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, পত্রিকাটি তার ভাবনা সম্পর্কে কিছুই জানে না।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ট্রাম্প নাকি ইরানে হামলার পরিকল্পনায় ব্যক্তিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন-আশায় ছিলেন, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসবে।
ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে-এ লিখেছেন, ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইরান বিষয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে কিছুই জানে না!’
গতকাল পর্যন্ত ট্রাম্প জানান, ট্রাম্প এখনো ইরানে হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দেখা যাক কী হয়। সবাই আমাকে এটা নিয়ে প্রশ্ন করছে, কিন্তু আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
ইরান থেকে ট্রাম্পকে সরে আসার আহ্বান স্টারমারের: ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।
তিনি বলেছেন, এখানে সংঘাত ‘বৃদ্ধির বড় ঝুঁকি’ রয়েছে।
তিনি সব পক্ষকে কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্টারমার বলেছেন, এর আগে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে’ এবং ‘আমার মতে, এটিই এই সমস্যা সমাধানের উপায়’।
এমন সময়ে তার এই মন্তব্য এসেছে যখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশ্যে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। যেখানে তিনি ট্রাম্পের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিওর সাথেও দেখা করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ল্যামি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আলোচনা করবেন।
আমেরিকার সমর্থন ছাড়া ইসরায়েল হামলা চালাত না: খামেনির উপদেষ্টা: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি বলেছেন, ইসরায়েল যখন তেহরানে হামলা চালায়, তখন ইরান মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুরোধে শান্তি আলোচনা করছিল।
লারিজানি বলেন, “আলোচনার শেষ পর্যায়ে এসে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রকৃত সমাধানে আগ্রহী ছিল না, বরং তারা আমাদের ওপর নির্দিষ্ট কিছু শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের বিশ্বাস, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ছাড়া ইসরায়েল এই আগ্রাসন চালায়নি। আর ট্রাম্প এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।”
আলি লারিজানি বলেন, “যদিও ইসরায়েল আমাদের সামরিক নেতাদের হত্যার চেষ্টা করেছে, আমরা ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের বিকল্প নিয়োগ করেছি। ইসরায়েল ভেবেছিল, কয়েকদিনের মধ্যেই ইরানকে পিছু হটানো যাবে কিন্তু তা হয়নি।”