বাঙ্গালীর বার্তা: নারী অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সোনালী ইতিহাস গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আজ রবিবার ‘এইচ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার। ভিয়েনতিয়েনের নিও লাও স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি। মাত্র এক পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে খেলার সুযোগ। যা হবে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দেশের নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় অর্জন।
প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভাসছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। উদ্বোধনী ম্যাচে লাওসকে হারানোর পর তিমুর লিস্তের বিপক্ষে গোলের বন্যা বইয়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে তৃষ্ণার হ্যাটট্রিক ছিল বিশেষ আকর্ষণ। চার দলের গ্রুপে সমান ছয় পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে রয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
তবে শেষ বাধা শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া। যারা এই প্রতিযোগিতায় দুইবারের চ্যাম্পিয়ন। চ্যালেঞ্জটা কঠিন হলেও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম অনুপ্রেরণাদায়ক। ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলে শিরোপা জয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত টানা আট ম্যাচ অপরাজিত তারা। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ নয় ফুটবলারের উপস্থিতি দলকে আরও শক্তিশালী করেছে।
গোল পরিসংখ্যানও উজ্জ্বল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ১১ গোল করেছে তারা, দক্ষিণ কোরিয়া করেছে ১০। ফলে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে নাম লেখাবে আফঈদারা। এতে করে সিনিয়র দলের পর বয়সভিত্তিক পর্যায়েও নারী এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে বাংলাদেশ।
যদি হারের মুখেও পড়তে হয়, তবুও রয়ে যাবে সেরা তিন রানার্সআপ হয়ে মূলপর্বে ওঠার সুযোগ। বাছাইপর্বের আটটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্সআপ আগামী বছরের ১–১৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বসবে মূল আসরের লড়াইয়ে। সেখান থেকে সেরা চার দল যাবে ২০২৬ সালের পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপে।
লাল-সবুজের মেয়েরা এখন কেবল এক পয়েন্ট দূরে। যা ছুঁলেই ফুটবল ইতিহাসে লিখবে আরেকটি গৌরবময় অধ্যায়।