বাঙ্গালীর বার্তা: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৭৬ রান করেছে টাইগাররা।
এর আগে সেঞ্চুরি দিয়েই শততম টেষ্ট ম্যাচ রাঙিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বিশ্বের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি। টেস্টে এটি তার ১৩তম সেঞ্চুরি। যেখানে আবার বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি শতরানের রেকর্ডে তিনি স্পর্শ করলেন মুমিনুল হককে। দ্বিতীয় দিন সকালে ২১৪ বল খেলে ১০৬ রানে থামে তার ইনিংস।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিক লিটন দাসকে নিয়ে ২১০ বলে ১০৮ রান তোলেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তিন অঙ্ক ছুঁতে কেবল ১ রান প্রয়োজন ছিল অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। পরে সেই অপেক্ষা শেষ হতে আজ লাগল ৮ বল।
সেঞ্চুরির পর বাঁহাতি স্পিনার হামফ্রেসের বলটি অতিরিক্ত বাউন্সের সঙ্গে টার্নও করে। সেটি আর সামলাতে পারেননি মুশফিক। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে থাকা ফিল্ডার বলবার্নির হাতে। এক হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। মুশফিক আউট হয়েছেন ১০৬ রান করে। তার ইনিংসটি ছিল ৫টি চারে সাজানো।
যদিও আউট হওয়ার আগেই ইতিহাস গড়েছেন মুশফিক। আউট হওয়ার পর আইরিশ খেলোয়াড়রা তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে অভিবাদনও জানিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে মুশফিকের আগে ১০০ ম্যাচ খেলেছেন ৮৩ ক্রিকেটার। উপলক্ষটি শতরানে রাঙাতে পারলেন কেবল ১১ জন।
মুশফিকের পর দারুণ সেঞ্চুরি করে ফিরেছেন লিটন দাস। ১২৮ বলে ম্যাথিউ হামফ্রেসেরে বলে আউট হন তিনি। ১৯২ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ৫২তম টেস্টে পঞ্চম সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। তার আগে গেভিন হোইর বলে ৪৭ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
শেষ দিকে বলার মতো এবাদত হোসেন ১৮ ও হাসান মুরাদ ১১ রান করেন।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট পান। টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ বা তার বেশি উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান হামফ্রেস ও হোয়ে।