বাঙ্গালীর বার্তা: ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে তিনটি মহাসড়ক অবরোধ করে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন এলাকাবাসী। ফলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। বিশেষ করে তীব্র গরমে কষ্ট পাচ্ছে শিশুরা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৮টার দিকে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল এবং ঢাকা-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারা ভাঙ্গার একাধিক স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে- আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি, হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ ও হামিরদী বাসস্ট্যান্ড, মানিকদহ ইউনিয়নের পুকুরিয়া এবং ভাঙ্গা পৌরসভার হাসপাতাল মোড়। নতুন স্পট হিসেবে যোগ হয়েছে মাধবপুর ও নওপাড়া বাসস্ট্যান্ড।
হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদের যুবক আব্দুল করিম বলেন, “নির্বচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। ভাঙ্গা উপজেলার ঐক্য ভাঙলে স্থানীয় সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। দাবি না মানলে আন্দোলন আরো তীব্র হবে।”
হামিরদী বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ বলেন, “ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পরিবর্তন আমাদের ভোটাধিকারকে প্রভাবিত করবে।”
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান বলেন, “আজকের অবরোধ গতকালের চেয়ে বেশি তীব্র। স্থানীয়রা দুটি ইউনিয়নের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে সবদিক থেকে রাস্তা অবরোধ করেছেন। পুলিশ যথাসাধ্য শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করছে।”
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, “বিক্ষোভকারীরা সকাল থেকে সড়কে অবস্থান করছেন। তারা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার চেষ্টা চলছে, এখনো কোনো সমাধান হয়নি।”
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাম্প্রতিক গেজেট অনুসারে, ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন ভাঙ্গাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।