বাঙ্গালীর বার্তা: প্রেম করে প্রায় ছয় মাস আগে সাদিয়া ইসরাত মীমকে (২১) বিয়ে করেছিলেন দীন মোহাম্মদ (২২)। শুক্রবার ( ২৬ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীর ফকিরপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর তার স্বামী পলাতক।
সাদিয়া ইসরাত মীম হাতিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাব্বির হোসেনের মেয়ে ও চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের ছাত্রী ছিলেন। দীন মোহাম্মদ লক্ষ্মীপুর জেলার নূর মোহাম্মদের ছেলে ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নিহতের বাবা সাব্বির হোসেন জানান, নোয়াখালী কলেজে পড়ার সময় মীম ও দ্বীন মোহাম্মদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি বছরের ১১ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা মাইজদী শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল। শুক্রবার সকালে দ্বীন মোহাম্মদ মীমের খালাতো বোন জুঁই ও আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, মীম হয়তো বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। আপনারা দ্রুত বাসায় আসেন, আমি গাড়ির জন্য বের হয়েছি। এরপর থেকে তার খোঁজ নেই। খবর পেয়ে জুঁই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মেঝেতে সাদিয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখে ডাক-চিৎকার করে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই মোনায়েম হোসেন শোভন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে গিয়ে দেখি, আমার বোনের লাশ মেঝেতে পড়ে আছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তার স্বামী লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছেন। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, এখনো জানি না।’’
নিহতের আরেক খালাতো বোন শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘‘একই বাসায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভা নামের আরেক ছাত্রী সাবলেট থাকত। ঘটনার পর থেকে তিনিও নেই। ফোন দিলে জানান, ঢাকায় যাচ্ছেন। আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামী হত্যা করেছেন।’’
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের বলেন, ‘‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে। পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’