বাঙ্গালীর বার্তা: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের ইনার অ্যাপ্রোচ এলাকার পাশে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবস্থান নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ কথা উল্লেখ করে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সব ভবন রাজউক ও সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কিনা সেটি খতিয়ে দেখা জরুরি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা: জননিরাপত্তা এবং উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় ও করণীয়’ শিরোনামে ওই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, “১৯৯৫ সালে প্রণীত ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা ডিএমডিপি এবং ২০০৮-০৯ সালের প্রথম বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী, মাইলস্টোন স্কুলের অংশটি জলাধার ছিল। যা বহাল রাখার বিষয়ে নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা পরিবর্তন হয়ে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।”
মেহেদী আহসান বলেন, “এই স্থাপনা নির্মাণে অবশ্যই রাজউকের অনুমোদন লাগে। তাই রাজউক দায় এড়াতে পারে না। পাশাপাশি সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি ছাড়া রাজউক এখানে অনুমোদন দিতে পারে না। বিমানবন্দরের রানওয়ের টেক অফ এবং ল্যান্ডিংয়ের অ্যাপ্রোচ জোনে মাইলস্টোন স্কুল হওয়ার ঘটনা সিভিল অ্যাভিয়েশন ও রাজউকের সমন্বয়হীনতা প্রকাশ করে।”
বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “জলাভূমি হওয়া স্বত্বেও রাজউক কার স্বার্থে, কোন উদ্দেশ্যে ডিএমডিপি অনুসরণ না করে ‘ফ্লাইং অ্যাপ্রোচ জোনে’ নগর উন্নয়নের অনুমোদন দিচ্ছে? মাইলস্টোনের সব ভবন রাজউক ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের অনুমোদিত কিনা সেটি খতিয়ে দেখা জরুরি।”
আদিল মুহাম্মদ খান আরো বলেন, “দেশের জনবহুল কোনো এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ার সুযোগ নেই। নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিমান উড্ডয়নের পথ সবসময় নিরাপদ রাখতে হয়। উন্নত বিশ্বে বিমানবন্দর শহর থেকে তুলনামূলক দূরে এবং শহর ও বিমানবন্দরের মাঝে বাফার জোন থাকে। ঢাকায় উড়োজাহাজের ফ্লাইং অ্যাপ্রোচ জোন বাদ দিয়ে নগরায়ন করা উচিত ছিল।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিআইপির সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আমিন, কোষাধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দীন হাসান, বোর্ড সদস্য আবু নাঈম সোহাগ প্রমুখ।
বিআইপি গবেষণা দলের একটি মূল্যায়ন তুলে ধরেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তামজিদুল ইসলাম।